ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

ভাঙা বাঁধ দিয়ে ঢুকছে পানি, পেকুয়ায় বন্যার শঙ্কা

পেকুয়া প্রতিনিধি :;  আবারো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হতে পারে কক্সবাজারের পেকুয়া। একুশ দিনের মাথায় ফের বন্যার শঙ্কায় ভুগছেন পেকুয়াবাসী। গেলো ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই আবারো বন্যার পানিতে ডুবতে হবে সদর ইউনিয়নের অন্তত পঞ্চাশ হাজার মানুষকে। ২০ দিন আগের বন্যায় পানিবন্দি হয়েছিল উপজেলার প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। এখনো সেই ক্ষত শুকায়নি। সে বারের বন্যায় ক্ষতি হয়েছিল প্রায় ২৯ কোটি টাকার।

স্থানীয়দের দাবি, বন্যায় ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ সংস্কার না করায় দূর্দশায় পড়তে হচ্ছে তাদের। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে ভারি বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের পানি ভাঙা বাঁধ দিয়ে প্রবেশ করছে লোকালয়ে।

রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের পূর্ব মেহেরনামা ফাঁসের গুদাম পয়েন্টে প্রায় দেড় চেইন ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। গত দুইদিনের প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরী নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সৈকতপাড়া, মুরারপাড়া, পুর্ব মেহেরনামাসহ আরো কয়েকটি গ্রাম আংশিক প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা বালির বস্তা দিয়ে পানি প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহেদুল ইসলাম জানান, গেল বন্যায় পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে তিনটি পয়েন্টে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধ সংস্কার করতে উদ্যোগের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ফের বন্যার কবলে পড়তে হয়েছে পেকুয়াবাসীকে।

এদিকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা ভাঙা বাঁধ পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, কি করব ভেবে পাচ্ছিনা। ভাঙা অংশ দিয়ে যেভাবে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে খুব দ্রুত সময়ে পেকুয়া সদর প্লাবিত হবে। পাউবো কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বার বার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে যোগাযোগ করেছি। তাদের কোন সাড়া পায়নি। তাদের অবহেলার কারণে আমরা কষ্ট পাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) এর অরুপ চক্রবর্তী জানান, আমরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের মেরামত করেছেন। বালি ও মাটির সংকটের কারণে চেয়ারম্যান সাহেব পরিপূর্ণভাবে মেরামত করতে পারেনি। জরুরী বরাদ্ধের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এখনো বরাদ্ধ আসেনি। মেরামতের বাজেট আসলে পরে পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত: